২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬০ হাজার ৯৮০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৭ জন।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংগঠনটি।
গত ১১ বছরে পরিবহন খাতে ব্যাপক সড়ক দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলার জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত এক দশকে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতে চরম দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি ও অব্যবস্থাপনা ছিল। বিশেষ করে ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী থাকাকালে পরিবহন খাতে অরাজকতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বহুগুণে বেড়েছে।
ছাত্র ও গণবিক্ষোভের মুখে সরকার পরিবর্তনের পরও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএর নীতিনির্ধারকরা বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী চর্চা অব্যাহত রেখেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘যাত্রী ভাড়া কমানো বা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরিবহন খাতের সংকট নিরসনে প্রয়োজন ব্যাপক সংস্কার, আর এজন্য পরিবহন খাতের সংস্কারে কমিশন গঠন করা জরুরি।’
মোজাম্মেল হক বলেন, গত ১১ বছরে ২০ হাজার ৫৪৯টি ট্রাক, পিকআপ ওলরি; ২০ হাজার ১২৪টি মোটরসাইকেল ও ১৫ হাজার ৩০১টি বাসসহ ৮৮ হাজার ১২৭টি যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। জাতীয় মহাসড়কে ৩১.৭৬%, আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩৭.৫৯% এবং সংযোগ সড়কে ২২.৫৪% দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তারা আওয়ামী লীগ সরকারের চাপের মুখে পড়েছেন বলেও উল্লেখ করেন মোজাম্মেল হক।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের আমলে সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।