ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য মসুর ডাল ও চিনি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ ক্রয় সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে দেশের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার টন চিনি ও মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে পাঁচ হাজার টন চিনি ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় টিসিবির জন্য সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৮ দশমিক ৪৩ টাকা।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় টিসিবির জন্য চট্টগ্রামের মেসার্স পায়েল ট্রেডার্স থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৯৬ দশমিক ৬৯ টাকা।
বৈঠকে ডাল-চিনি ছাড়াও চাল ও সার কেনার অনুমোদেন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে সেটি রাজনৈতিক, বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে না। ব্যবসায়ীরা যারা পণ্য বিক্রি করেন তারা রাজনীতিবিদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয় না, তারা পণ্য বেচেন। যেখান থেকে বাংলাদেশ কম দামে পণ্য পাবে, সেখান থেকেই কিনবে।