৫৬ শতাংশ জনবল সংকটে বিপর্যস্ত রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল। এরইমধ্যে ২৬৪টি অপারেটিং স্টেশনের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৭১টি। এমনকি, চলাচল বন্ধ ৪৮টি ট্রেনের। কোনো কোনো রেলপথে সক্ষমতার তুলনায় বেশি ট্রেন চলছে। এতে, অরক্ষিত হয়ে পড়েছে স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংগুলো।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে ৯৭৫ জন স্টেশন মাস্টারের বিপরীতে শূন্য আছে ৬২৩টি পদ। এমনকি, ৪২ জন গার্ড, ৪১৫ জন পয়েন্টসম্যান ও ৪৯১ জন গেটকিপারের পদেও নেই কোনো জনবল। সবমিলিয়ে মোট জনবলের ৫৬ ভাগ শূন্য।
লোকবল সংকটে পশ্চিমাঞ্চলের পাকশী বিভাগের ৫৪টি পুরোপুরি ও ৫টি স্টেশন আংশিক বন্ধ। আর, লালমনিরহাট বিভাগের বিভিন্ন রুটে বন্ধ ১২টি স্টেশন। বন্ধ থাকা স্টেশনে থামে না কোনো আন্তঃনগর ট্রেন। কিছু লোকাল ট্রেন থামলেও নেই টিকিট কাটার ব্যবস্থা।
এ অঞ্চলে গত ১৫ বছরে ৬৮টি নতুন ট্রেন চালু হয়। ৩৮টি ট্রেনের রুট বর্ধিত ও পরিবর্তন করা হয়। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন, মিতালী এক্সপ্রেসসহ ২০টি ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। যাত্রীখাতে আয় কম, কোচ, ইঞ্জিন, ক্রুর অভাব এবং ডেমু ট্রেন নষ্ট হওয়ায় বর্তমানে পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে বন্ধ ৪৮টি ট্রেন।
অন্যদিকে, ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রুটে ২৩টির সক্ষমতা থাকলেও চলাচল করে ৪০টি ট্রেন। আর ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর রুটে ২২টির সক্ষমতায় চলে ৩৬টি ট্রেন। সবমিলিয়ে বেড়েছে যাত্রীভোগান্তি।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম বলছেন, , লোকবল সংকট সবচেয়ে বড় সংকট। জনবল নিয়োগ হলেও চাকরি পাওয়ার পর শতকরা ৪০ ভাগ রেলকর্মী ইস্তফা দিয়ে চলে যান। কারণ এখানে সুযোগ সুবিধা অন্যান্য চাকরির থেকে কম।
তিনি আরও বলেন, সংকট নিয়েই আমরা ট্রেন সুষ্ঠুভাবে চালাচ্ছি। সংকট কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
অব্যবস্থাপনা এবং বগি ও আসন সংকট নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই যাত্রীদের। রেলপথ কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, পরিকল্পনার অভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংগুলো।