২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে কিভাবে আরও দ্রুত এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে স্বাক্ষাৎ করে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের একটি প্রতিনিধি দল।
সম্প্রতি সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং অগ্রণী ব্যাংক এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এম ইউ আহমেদ ফরিদ এর সাথে স্বাক্ষাৎ করেন তারা। এসময় বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যে কর বৃদ্ধির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরে প্রতিনিধি দলটি। তামাক নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনের মুখপাত্র সমস্বর পত্রিকার সর্বশেষ সংখ্যাটি হস্তান্তর করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মীরা।
পরে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রতিনিধি দলটি সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পানি সরবরাহ অধিশাখার যুগ্ম সচিব জনাব জসিম উদ্দিন এর সাথে স্বাক্ষাৎ করে। স্বাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন নির্দেশিকার প্রয়োগ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ গতিশীলকরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
তামাক নিয়্ন্ত্রণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রতিনিধি দলটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (শৃঙ্খলা-১ অধিশাখা) নাঈমা হোসেন এর সাথে স্বাক্ষাৎ করে। এসময় শরীয়তপুরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর পলাশ কুমার দেবনাথও উপস্থিত ছিলেন। স্বাক্ষাৎকালে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
গত মঙ্গলবার ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রতিনিধি দলটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা: নাজমা নাহারের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করে।
ঐ দিন দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) চৌঃ মোঃ গোলাম রাব্বী এবং বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগেরসিনিয়র সহকারী সচিব (টিও-২ শাখা) সুবর্ণা সরকারের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন তারা। এসময় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট(বাটা), ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টসহ চলমান তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রতিনিধি দলটি। উক্ত কর্মকর্তারা জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
তামাকজাত পণ্যের ওপর কার্যকর কর বৃদ্ধি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতেই এই উদ্যোগ বলে জানান প্রতিনিধি দলটির প্রধান ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম (টিসি এন্ড এনসিডি) সৈয়দা অন্যান্য রহমান।