নোংরা পরিবেশ আর নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের বিরুদ্ধে। প্রবাসীদের অভিযোগ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় পাসপোর্ট নবায়নে দীর্ঘসূত্রতাসহ দূতাবাস সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সরকারের কেনা নিজস্ব চ্যান্সারিতে সুবিশাল পরিসরে সেবা কার্যক্রম শুরু করে পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাস। কনস্যুলার সেবাসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন লিসবনের এই মিশনে আসেন কয়েকশো প্রবাসী বাংলাদেশি।
এ ছাড়া বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ ছাড়াও ভিসা বা অন্যান্য ইস্যুতে দূতাবাসে আসেন পর্তুগিজ নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
তবে দূতাবাসের ভেতরে নোংরা পরিবেশ ও নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মোবাইলে ধারণকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশ দূতাবাসে ওয়েটিং রুমের মেঝেতে ধুলার স্তর। দেখেই আঁচ করা যায় ধোঁয়া মোছা হয়নি দীর্ঘদিন।
দূতাবাসের টয়লেটের চিত্র আরও খারাপ। দীর্ঘ সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী দূতাবাসে আসা সেবা প্রত্যাশীদের জন্য নির্দিষ্ট টয়লেট। ফলে জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে তাদের যেতে হয় আশেপাশের কোন স্থাপনায়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট পেতে দীর্ঘসূত্রতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসীনতাকে দায়ী করেন ভুক্তভোগীরা। রয়েছে সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
লিসবনের বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত একজন কাউন্সেলর ও একজন তৃতীয় সচিবসহ মোট ১৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করছেন।