পানি প্রবাহ বাড়ায় পানামা খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দিনে ৩৪টির পরিবর্তে সেপ্টেম্বর থেকে ৩৬টি করে জাহাজ পানামা পাড়ি দিয়ে যাবে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সামুদ্রিক বাণিজ্যে ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খালটি পার হয়ে বিশাল বিশাল পণ্যবাহী জাহাজ ঢুকে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরে। তবে, নাব্য সংকটের পাশাপাশি পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কারণে যখন খুশি তখনই এই খালে ঢুকতে পারে না কোনো জাহাজ। যেমন, বর্তমানে দৈনিক মাত্র ৩৪টি জাহাজ পারাপারের সুযোগ পায় বৈশ্বিক জাহাজ পরিবহন খাতে ৫ শতাংশ অবদান রাখা পানামা খাল দিয়ে।
তবে, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে জাহাজ পারাপার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩৬টি করে জাহাজ চলাচল করবে পানামা দিয়ে। আগাম বর্ষাকালই শিপিং লাইনগুলোকে এই সুযোগ করে দিচ্ছে।
পানাম খাল কর্তৃপক্ষের উপ-প্রশাসক ইলিয়া এস্পিনিও ডি মারোতা বলেন, বর্তমানে আমরা প্রতিদিন ৩৪টি করে জাহাজ পারাপার করছি। ৫ আগস্ট থেকে এটি ৩৫টি হবে। সেপ্টেম্বর থেকে দিনে ৩৬টি জাহাজ পানামা পাড়ি দিতে পারবে বলে আশা করছি।’
এমনকি পরের গ্রীষ্মেও স্লট কমাতে হবে না বলে আশাবাদী- গত বছরে স্মরণকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ শুষ্কতা দেখা পানামা কর্তৃপক্ষ। তাই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে খালটির রাজস্ব আদায় ১৮ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে ঠেকবে বলেও আশাবাদী তারা।
ইলিয়া এস্পিনিও ডি মারোতা আরও বলেন, এই খাল দিয়ে বিভিন্ন আকার জাহাজ চলাচল করে। তেল ও দানাদার খাদ্য যেমন বহন করা হয়, তেমনি ইস্পাতের মতো শক্ত পণ্য ও কাঁচামাল পার হয় পানামা দিয়ে। তাই আমরা চাইলেই স্থলপথের মতো করে পণ্য পরিবহনের সুযোগ করে দিতে পারি না।’
কিছুদিন আগে এই খাল পাড়ি দেয়ার জন্য ২১ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য্য নিয়ে লাইনে থাকতো ১০০-এর বেশি জাহাজ। যা ধীরে ধীরে কমছে। এমন দাবি করে কর্তৃপক্ষও বলছে, জাহাজ পরিবহন সেবায় সঠিক পথেই চলছে পানামা।