জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার জন্য এখনই সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল) আয়োজিত‘গ্রিন আর্থ কোয়েস্ট’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির বিচারে শীর্ষ ১০টি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে প্রথমেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য শিল্পোন্নত বিশ্ব দায়ি থাকলেও এর ক্ষতির দ্বায় আমাদেরকে বহণ করতে হচ্ছে। শুধুমাত্র একটি দেশ বা প্রতিষ্ঠান কিংবা জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার প্রচেষ্টা দ্বারা এটির মোকাবিলা সম্ভব নয়। প্রত্যেক দেশের প্রতিটি মানুষ যদি নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে সচেতনতার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে তবেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে একাধারে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা সমস্যা, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে নদীর দিক পরিবর্তন, বন্যা ইত্যাদি সব দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রাও অনেক বেশি। তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সৃষ্ট প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল সাগর গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। হাওরের পানি লবণাক্ততা হলে দেশের শতকরা ২৫ ভাগ খাদ্যের যোগান বন্ধ হয়ে যাবে, মিঠা পানির মাছ থাকবে না। এর ফলে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে বসবাস কঠিন হবে। ইতোমধ্যেই রেকর্ড পরিমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার মোখলেসুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, প্রমুখ বক্তৃতা করেন।