আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় দিনাজপুরে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে আমন আবাদ। পানির চাহিদা পূরণে জেলাজুড়ে ৩৬ হাজারের বেশি সেচ পাম্প চালানো হচ্ছে। তবে বাড়তি খরচ হওয়ায় উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে কৃষকরা দাবি করেছেন।
জমি তৈরি করে রোপণ করা হচ্ছে ধানের চারা। তবে রোপণ করা ক্ষেতে পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির। এবার বর্ষা মৌসুমে জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। এ কারণে পাম্পের মাধ্যমে ক্ষেতে সেচ দেয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে, স্বাভাবিক সময়ে আষাঢ় মাসে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও চলতি বছর সাড়ে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জুলাইয়ে ৩২৮ মিলিমিটার ও আগস্টের প্রথম ১২ দিনে ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
কৃষকরা বলেন, ‘তীব্র গরমে জমির মাটি ফেটে গেছে। সেচ দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ বেশি হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আবাদ করে আমাদের লাভ হবে না।’
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বৃষ্টিপাত কম হলেও আমাদের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত করা ঠিক হবে না। এ মুহূর্তে সেচ পাম্পের মাধ্যমেই আমাদের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, দিনাজপুরে এবার ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।