ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ আগস্ট ২০২৩
  • অন্যান্য

রেস্টুরেন্টে স্মোকিং জোন, বয়কটের আহ্বান

অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন
আগস্ট ৩, ২০২৩ ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ । ৬১৫ জন

রেস্টুরেন্টে আমরা যাই, বন্ধু, পরিবার নিয়ে একটি সুন্দর আর স্বাস্থ্যকর সময় কাটাতে। খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর কিনা, হোটেল সার্ভিস ও খাবারের মান স্বাস্থ্যকর কি না কত কিছুই ভাবি। কিন্তু করোনার যাওয়ার পর হতে একটি বিষয় প্রকটভাবে লক্ষ করছি, ঢাকার রেষ্টুরেন্টগুলোকে সিগারেট খাওয়ার আখড়া বানানো হচ্ছে।

ঢাকার নামী দামী রেষ্টুরেন্ট-এ সিগারেট খাওয়ার জন্য একটি ঘর বানানো হচ্ছে। আবার কখনো কখনো এ ঘর প্রবেশ পথেই। এ ঘর কে, কারা, কিভাবে বানাচ্ছে তা একটু পড়ে বলছি। আগে সমস্যা একটি বলে নিই।

আমাদের সন্তান যখন রেস্টুরেন্টে পাঠাই নিশ্চিত থাকি, আর সেই রেস্টুরেন্টে আমাদের সন্তানদের জীবন ধ্বংস করতে সিগারেটের ঘর বানিয়ে রেখেছে কিছু মানুষ।

সিগারেটের পরোক্ষ ধোঁয়ার শিকার প্রায় ১ কোটি নারী। দেশে কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন তিন কোটি ৮৪ লাখ মানুষ। পরোক্ষ ধূমপান গর্ভবতী মায়েদের জন্যও বেশ ক্ষতিকর। গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে। মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, এমনকি সন্তান জন্ম দেয়ার পরও এই প্রভাব থেকে যেতে পারে। শ্বাসকষ্ট আছে এমন মানুষের জন্য জীবনের হুমকি হতে পারে।

এবার বলি এর পিছনে কে আছে, এ পিছনে টাকা পয়সা দিয়ে কাজ করছে এখনো দুটি বিদেশি সিগারেট কোম্পানি। এ সিগারেট কোম্পানিগুলো, এখন যে তরুণ আছে তাদের ধূমপায়ী বানাতে চায়।

সম্প্রতি দেখেছেন তারা বলছে, তাদের ব্যবসা বেড়েছে, কারণ তারা এমন সকল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উদ্যোগের মাধ্যমে নুতন তরুণদের ধূমপানের ফাঁদে ফেলেছে।

এখানে দেয়া একটি ছবি সিগারেট কোম্পানি বিএটির এবং গুলশানে রেস্টুরেন্ট হতে তোলা। ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও ভয়েজের গবেষণা বলছে, সিগারেট কোম্পানিগুলো প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে এমন করে রেস্টুরেন্ট সাজিয়ে দিতে।

যাক আমাদের করণীয় কি? বয়কট …
নিজের টাকা খরচ করে স্বাস্থ্য ও জীবনের ক্ষতি করতে যাওয়ার কোন মানে হয় না।

রেস্টুরেন্টকে এ সকল ধূমপানের ঘর অপসারণ করতে বলুন। অন্যথায় এ সকল রেস্টুরেন্ট বয়কট করুন …। ধূমপানের স্থান নেই এমন রেস্টুরেন্ট বেছে নিন এবং সন্তানকে যেতে উৎস দিন।

 

লেখক : জনস্বাস্থ্য নীতি বিশ্লেষক।