ঢাকাশনিবার , ২৪ আগস্ট ২০২৪

নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৪, ২০২৪ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ । ৩১ জন

ভারত থেকে নেপালে যাওয়া পূণ্যার্থীবাহী বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই বাসে অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাদের মরদেহ ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্র সরকার এ বিষয়ে দিল্লির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সেনা সদস্যরা মরদেহগুলো হেলিকপ্টারে করে ফিরিয়ে আনবে।

দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নেপালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে মোট ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। অধিকাংশই ভারতীয় যাত্রী নিয়ে বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপালে গিয়েছিল। শুক্রবার দুপুরের দিকে পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল বাসটি। নেপালের তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে আচমকা বাস উল্টে যায়।

দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসটি একটি পাহাড়ি ঢালের নিচে খরস্রোতা নদীর ধারে পড়ে আছে। উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকা যাত্রীদের খুঁজছেন। নেপালের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি চিকিৎসক দল দুর্ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।

তানাহুন জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা দীপকুমার রায়ার উদ্ধৃতি দিয়ে এএনআই বার্তা সংস্থা বলেছে, বাসটির নাম্বারপ্লেটে লেখা ছিল ইউপি এফটি ৭৬২৩। গাড়িটি নিবন্ধন করা আছে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে।

শুক্রবার সকালে বাসটি ভারত থেকে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করে। নিহতদের মধ্যে ৬ বছরের একটি মেয়ে শিশুও ছিল।

নেপালে পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার বাস রুট ভারতীয় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সড়ক ও যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং পার্বত্যাঞ্চলে সরু রাস্তার কারণে নেপালে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

গত জুলাইয়ে ভূমিধসে দুটি যাত্রীবাহী বাস ত্রিশূলী নদীতে পড়ে কয়েক ডজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছিলেন।