কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার উপরে উঠে যাওয়ায় রবিবার সকালে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার পানির উচ্চতা মিন সি লেভেল (এমএসএল) থেকে ১০৮ ফুট উপরে উঠেছিল। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, পানি ছাড়ার জন্য রবিবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ৬ ইঞ্চি করে গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
গত চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে পানির স্তর দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় উজানে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। পরে জলকপাটগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কাপ্তাই হ্রদ ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে গত দুই দিন বৃষ্টি না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে।
স্পিলওয়ে গেট দিয়ে পানি ছাড়ার ফলে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯০০০ ঘনফুট (কিউসেক) পানি নির্গত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তার উপর নির্ভর করে, গেট খোলার পরিমাণ বাড়াতে পারে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা জানান, কাপ্তাই হ্রদের সর্বাধিক পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। ১০৮ ফুট পর্যন্ত বিপৎসীমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শনিবার বিকেলে হ্রদের পানির স্তর এই পয়েন্টের কাছাকাছি পৌঁছে। সম্ভাব্য বন্যা রোধ করতে নিয়ন্ত্রিত পানি ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
বর্তমানে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রয়েছে, যা ৩২ হাজার ঘনফুট প্রতি সেকেন্ড (সিএফএস) পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়লে কর্ণফুলী নদীর পানি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।