চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশে সুপার টাইফুন ইয়াগি’র আঘাতে অন্তত ২জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৯২ জন। দেশটির দক্ষিণ উপকূলে ঝড়টি আছড়ে পড়ার আগে, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ওই অঞ্চল থেকে প্রায় ১০ লাখ লোককে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে এখনও কাটেনি শঙ্কা, শনিবার ইয়াগি ইউনেস্কো ঘোষিত ভিয়েতনামের ঐতিহ্যবাহী স্থান হ্যালং বে’র আশেপাশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
হাইনানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে ঝড়টি আঘাত হানার আগে এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার (১৫২ মাইল)। গেলো এক দশকের মধ্যে চীনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন এটি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি ভারি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসসহ হাইনানে আঘাত হানার কারণে অন্তত দুজন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ৯২ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঝড়ের কারণে হাইনানের বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছগুলো উপড়ে গেছে। কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এদিকে সম্ভাব্য বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের অনেককেই তাদের বাড়ির বাইরে বালির ব্যাগ দিয়ে বাঁধ তৈরি করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিলো হাইনানের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাতিল করা হয় অসংখ্য ফ্লাইট। বন্ধ ছিলো ট্রেন ও নৌ চলাচল। দ্বীপটির হাইকোর প্রধান বিমানবন্দর শনিবার ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইয়াগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনের লুজোন দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে।
ঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণ চীনে আঘাত হানার পর এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এ ঝড়কে আরও তীব্রতর করেছে।