ঢাকাসোমবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ ৫:০০ অপরাহ্ণ । ৩৫ জন

টেকসই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পরিত্যাগ করে পৃথিবীকে সবার জন্য নিরাপদ করতে হবে। এবং নিষিদ্ধ পলিথিন আজই বর্জন করতে হবে। গাছ প্রকৃতি প্রদত্ত সুরক্ষা কবচ তাই গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিদেশি প্রজাতির গাছ আর প্রমোট করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে “সম্প্রীতির ভাবনায় বৈষম্যহীন আবহে টেকসই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা” প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত বৃক্ষরোপণ, পলিথিন ও একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (এসইউপি) বর্জন বিষয়ক আলোচনা এবং প্রকৃতি চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পরিত্যাগ করে পৃথিবীকে সবার জন্য নিরাপদ করতে হবে। নিষিদ্ধ পলিথিন আজই বর্জন করতে হবে। গাছ প্রকৃতি প্রদত্ত সুরক্ষা কবচ তাই গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিদেশি প্রজাতির গাছ আর প্রমোট করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব সৃষ্টি করবে বলে আমার বিশ্বাস। এই কর্মসূচি আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের প্রকৃতি সংরক্ষণের পথকে আরও সুদৃঢ় করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা (প্রশাসন), প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ (শিক্ষা), এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী।

বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ) এবং অধ্যাপক ড. মোঃ আহসান হাবীব (রসায়ন বিভাগ)।

কর্মসূচির বিভিন্ন অংশে শিক্ষার্থী ও পরিবেশবিদরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে, প্রকৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা পরিবেশ রক্ষার ভাবনা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন।

এর পূর্বে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাছের চারা রোপণ করেন।