দুর্গাপূজার কারণে ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে আগে ৯ থেকে ১০ গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি হতো, এখন তা বেড়ে ১৬ থেকে ২৬ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে হিলি খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দুই দিন আগে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি। তবে বর্তমানে দাম কমে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের দামও কমে ১০ টাকা, এখন তা ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় আমদানিকারকরা জানান, সম্প্রতি ভারতের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া রপ্তানি মূল্য প্রতি মেট্রিকটন ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খুচরা বাজারে দাম কমে আসছে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মইনুল হোসেন বলেন, “আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনে কম দামে বিক্রি করছি। বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, তাই দামও কমে আসছে।” তিনি আরও বলেন, “আজ মঙ্গলবার ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, যা দুই দিন আগে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি ছিল।”
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর দুই দিনে ভারতীয় ৪২টি ট্রাকে ১ হাজার ১৯৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে, আসন্ন দুর্গাপূজায় পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের উদ্যোগকে ইতিবাচক মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা আশা করছেন, আগামী দিনে দাম আরো কমবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।