ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

৯৪৫ কোটি টাকা ধার পেল দুর্বল ৪ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩, ২০২৪ ১২:২০ অপরাহ্ণ । ৩০ জন

চাহিদা অনুযায়ী দুর্বল ৪ ব্যাংককে ৯৪৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে কয়েকটি সবল ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকট কাটাতে তারল্য সহায়তা সাময়িকভাবে ভালো একটি উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে চার ব্যাংককে ধার হিসেবে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ৫টি ব্যাংক। এরমধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক পেয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। যা দিয়েছে সিটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।

প্রায় একই পরিমাণের তারল্য সহায়তা পেয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এ ব্যাংকটিকে সহায়তা দিয়েছে সিটি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ন্যাশনাল ব্যাংক তারল্য সহায়তা নিয়েছে সিটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও বেঙ্গল কমার্শিয়ালের কাছে থেকে।

ইস্টার্নসহ কয়েকটির কাছ থেকে তারল্য সহায়তা নিয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। তারল্য সহায়তা দেয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধার দিয়েছে সিটি ব্যাংক ৭০০ কোটি টাকা।

বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আর্থিক খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, অনেক ব্যাংকই তারল্য সংকটে ভুগছে। সংকট কাটাতে সবল ব্যাংকগুলো তারল্য ধার দিচ্ছে। এ ঋণের গ্যারান্টি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংকট কাটাতে তারল্য সহায়তা সাময়িকভাবে ভালো একটি উদ্যোগ।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে সবল ১০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকগুলো হলো— রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, বেসরকা‌রি খাতের ব্র্যাক, ইস্টার্ন, সিটি, শাহ্‌জালাল ইসলামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্‌–বাংলা এবং ব্যাংক এশিয়া।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে তিন দিনের মধ্যেই তা ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঋণের সুদ হার নির্ধারণ হবে চলতি রেটে।

এদিকে ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী; এই ৫টি ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাতে গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়। যেখানে গ্রান্টার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। সেদিনই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য দিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১৪টি সবল ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সে সময় জানান, নির্ধারিত পরিমাণের বেশি ঋণ কেউ দিতেও পারবে না; এমনকি নিতেও পারবে না। ঋণের মেয়াদও নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা হবে সর্বনিম্ন ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর।