যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আজ রাতেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। এরইমধ্যে আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে পাঁচ মাত্রার বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি বলছে, বিপজ্জনক হারিকেন ‘মিল্টন’ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টম্পা উপসাগরের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এর ভয়াবহ বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬৫ মাইল বা ২৭০ কিলোমিটার। এটি বুধবার রাতে পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
‘মিল্টন’র কবল থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন ফ্লোরিডার বাসিন্দারা। আবার অনেকেই জরুরি প্রস্তুতি শেষ করার জন্য ছোটাছুটি করছেন।
উপকূলীয় শহর ব্র্যাডেনটনের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘এটি ক্যাটাগরি ফাইভ। এটি একটি বিশাল টর্নেডোর মতো আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে। আমি আর সেখানে থাকতে চাইনা। এটি যেখানেই আঘাত হানুক না কেন, এটি জীবন পরিবর্তনকারী ঝড় হতে যাচ্ছে।’
এর আগে মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া সার্ভিস সর্বশেষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যদি ঝড়টির গতিপথ একই রকম থাকে, এটি হবে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী। মিল্টন এখনো ফ্লোরিডা উপকূলের জন্য বিপর্যয়কর ঝুঁকি হিসেবে অবস্থান করছে।’
এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সতর্ক করে বলেছেন, ‘মিল্টন’ গত ১০০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ফ্লোরিডাবাসীদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘এটি এখন জীবন-মৃত্যুর বিষয়।’
মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই ফ্লোরিডায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে হারিকেন ‘হেলেন’। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন ‘ক্যাটরিনা’র পর থেকে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড় এটি। ‘হেলেন’র প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ রয়েছেন শত শত মানুষ।