লাগামহীন দেশের শাক-সবজির বাজার। উঠতে শুরু করেছে হরেক রকম শীতের শাক-সবজি। তবুও কমছে না দাম। এদিকে আলুর দাম বাড়লেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তাই বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, মুলা ৬০-৮০ টাকা, লতি ১০০ টাকা, কহি ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৯০-১০০ টাকা ও পটোল ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ২৫০-২৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৮০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।
তবে দামে পিছিয়ে নেই শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ানবাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হাতে গোনা দুই-একটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমলেও বেশিরভাগই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে শাক-সবজির দাম। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, হাতেগোনা দু-একটি সবজি ছাড়া কোনোটিই নেই ৮০ টাকার নিচে; বেশিরভাগেরই দাম ১০০ টাকা বা তার ওপরে।
তবে শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে আসা শুরু হলে দাম কমবে জানিয়ে কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, প্রতি বছরের এ সময়টায় সবজির দাম চড়া থাকে। বাজারে সবজির দামের যে অবস্থা, তাতে কমে গেছে বেচাবিক্রি।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, মুলা ৬০-৮০ টাকা, লতি ১০০ টাকা, কহি ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৯০-১০০ টাকা ও পটোল ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ২৫০-২৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৮০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।
দামে পিছিয়ে নেই শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। গত সপ্তাহে কমতির দিকে থাকা কাঁচা মরিচ চলতি সপ্তাহে দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৬০-২৮০ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কমেছে মরিচের সরবরাহ। এতে চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ঊর্ধ্বমুখী দামে নাজেহাল সাধারণ ভোক্তারা। তারা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। এতে বাজার অস্থির করে ভোক্তার পকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
বাজারে বেড়ে গেছে আদা-রসুনের দামও। প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৬০ টাকা ও মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৮০ টাকায়।
সুখবর নেই আলু-পেঁয়াজের বাজারেও। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর পেঁয়াজ নতুন করে না বাড়লেও বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। খুচরায় প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।
এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ যথাক্রমে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১২-১১৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯২-৯৬ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। তাই বাজার চড়েছে। অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময়ে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে; তখন দাম কমে আসবে।
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।
আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।