সরকারি কাজে গতিশীলতা ফেরাতে ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন করে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার এই নির্দেশনামূলক চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ উপসচিব মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করা যায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজতর হয়। তথ্য প্রযুক্তি কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি কাজের গতিশীলতা আনতে এবং দ্রুত কর্ম সম্পাদন করতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে অধিকতর তৎপর হওয়া’ শিরোনামের চিঠিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থা ছাড়াও সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সকল কর্মকর্তাকে অধিকতর সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা প্রতিপালন এবং সকল সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হয় এবং দ্রুত সাড়া প্রদান করা যায়।
২. সকল কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক মোবাইল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সচল রাখার লক্ষ্যে ব্রডব্যান্ড, ওয়াইফাই অথবা মোবাইল ডাটার মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নিয়মিত বিরতিতে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পরীক্ষা করতে হবে, যাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বা পরামর্শ দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করা যায়।
৪. হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদত্ত যেকোনো সরকারি তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
৫. হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেওয়া হলে পরবর্তীতে তথ্য যাচাইয়ের সুবিধার্থে রেকর্ডে তা সংরক্ষণ করতে হবে।
সরকারি কাজে গতিশীলতা আনতে এবং দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহারে তৎপর হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।