কক্সবাজারের চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ১৪ অক্টোবর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের লোকোমাস্টার জামাল উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের অনুরোধে ২৩ অক্টোবর এ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
উপদেষ্টার অনুরোধের পর, অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান এলাকায় বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় ট্রেনের গতি ২০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম) কে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (চট্টগ্রাম) এবং বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (লোকো (চট্টগ্রাম)। বর্ণিত দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতঃ দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ পূর্বক সুপারিশমালা আগামী ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেড এবং আশপাশের এলাকায় হাতির সুরক্ষা ও মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের বিষয়ে সুপারিশমালা প্রদানের জন্য এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে। ড. মো: মোস্তফা ফিরোজ, অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. মনিরুল এইচ খান, অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; আইইউসিএন এর প্রতিনিধি; কোরিয়ান ইপিজেড এর ০২(জন) প্রতিনিধি; মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব, কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর, ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস, বন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা; আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারম্যান, সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, ঢাকা; রুবাইয়া আহমেদ, অভয়ারণ্য, বাংলাদেশ এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন; মুনতাসির আকাশ, সহকারী অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ; বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, চট্টগ্রাম
এছাড়াও, উপদেষ্টার নির্দেশে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামের আকবার শাহ এলাকায় পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।