ঢাকারবিবার , ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

প্রথমবারের মতো দেশ থেকে শুরু হলো বাস রফতানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৭, ২০২৪ ২:৫৮ অপরাহ্ণ । ২৯ জন

প্রথমবারের মতো বাস রফতানি শুরু করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অটোমোবাইলখাতের প্রতিষ্ঠান ইফাদ অটোস পিএলসি। চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম। প্রাথমিক চালানে ১১টি এসি বাস ভুটানে রফতানি করা হবে। কোম্পানির নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানায় বাসগুলোর বডি প্রস্তুত করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইফাদ।

এ প্রসঙ্গে ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন, বাংলাদেশ সব সময় বাস আমদানি করে এসেছে। ইফাদ অটোসের হাত ধরে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এটি রফতানি করায় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। বাংলাদেশের অটোমোবাইলশিল্পের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে ইফাদ অটোস পিএলসি। সরকারের সহায়তা পেলে আরও অনেক দেশে বাস রফতানি করা সম্ভব হবে।

এরই মধ্যে মালদ্বীপ, নেপাল, মিয়ানমার এবং ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যগুলো ইফাদ থেকে এসি ও নন-এসি বাস নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও উল্লেখ করেন ইফতেখার আহমেদ টিপু।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি আমদানি বাবদ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইফাদ অটোস গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা স্থাপন করে।’

তিনি আরও বলেন, কারখানাটি শুরুতে গাড়ি সংযোজন করলেও পরে বিশ্বমানের এসি ও নন-এসি লাক্সারি বাস উৎপাদন শুরু করে।

ইফাদ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইফাদ অটোস পিএলসি। ১৯৮৫ সাল থেকে অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের এসি ও নন-এসি বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান বাংলাদেশে বাজারজাত করছে। ২০১৭ সালের শুরুতে অশোক লেল্যান্ডের কারিগরি সহযোগিতায় ইফাদ অটোস লিমিটেড ঢাকার ধামরাইয়ে গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম শুরু করে। বেসরকারি উদ্যোগে এটি দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা।