জেন্ডার বৈষম্যের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করে জেন্ডার শ্রেণিবিন্যাস এবং নারী ও পুরুষদের মধ্যে অসঙ্গতি দূর করতে জেন্ডার বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। নারীদের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনে আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বেশি জনগণকে বিশেষকরে নারীদের অর্ন্তভূক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
আজ (২৮ অক্টোবর) সোমবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এফএও বাংলাদেশ আয়োজিত “কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ”-প্রকল্পের আওতায় “ক্লাইমেট চেঞ্জ রিস্ক অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট” (সিআরভিএ)-শীর্ষক কর্মশালালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
অপরিকল্পিত রাস্তা ও উন্নয়ন জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনে ফলে ফসলের ক্ষতি নিয়ে বেশি আলোচনা হলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কে খুব কম আলোচনা হয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে নারী-পুরুষ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত উল্লেখ করে বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনে আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বেশি জনগণকে বিশেষকরে নারীদের অর্ন্তভূক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেছেন, বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা সমস্যা প্রায়শ:ই ঘটছে। এ সমস্যার জন্য শুধু বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে না বরং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো অনেকাংশে দায়ী।এব্যবস্হা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ক্রস কান্ট্রি ও ক্রস বাউন্ডারি আলোচনা দরকার।
বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেকসই মৎস্য ও মৎস্য চাষ উন্নয়ন করা। বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেখানে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল ও মৎস্য খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য স্থানীয় জনগণকে অভিযোজিত ও টেকসই কৌশল শেখানো এবং বাস্তবায়নে আরো বেশি সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেছেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি (Jiaoqun Shi), ওয়ার্কশপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন সিইজিআইএসের প্রজেক্ট এক্সপার্ট মোহাম্মদ মুকতারেজ্জামান, এফএও এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড.মো:আবুল হাসনাত,স্বাগত বক্তৃতা করেছেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো: শামসুদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া মৎস্যচাষী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মিস মুক্তা বিশ্বাস প্রমুখ।
কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।