যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইয়া ফৌজিয়া মিম নিহতের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কের দুই পাশে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। সাধারণ যাত্রীরাও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটাসহ পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ পরিবহন নামে একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিম। ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও বাসটি আটক করতে সক্ষম হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাত ১১টার দিকে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দ্বিতীয় দফায় অবরোধ শুরু করে তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হওয়া সত্ত্বেও চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সড়কে ওভারব্রিজ স্থাপনের পাশাপাশি ঘাতক বাসের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনাবাহিনী।
বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অবরোধ তুলে নিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে আশা করা যাচ্ছে।