বিদেশে আমাদের চিংড়ির চাহিদা রয়েছে। তবে সনাতন পদ্ধতির কারনে দেশে উৎপাদন কম হচ্ছে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চিংড়ির উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন না বাড়ালে রপ্তানি বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ (৪ নভেম্বর) রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহবান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন , সরকার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও বাংলাদেশ ইকনোমিক জোনস অথরিটি (বেজা) কে ঢেলে সাজিয়েছে। দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ এখন চমৎকার। এসময় তিনি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন,এক দশকের বেশি সময় ধরে কাঁচামালের অভাবে উৎপাদনক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানাগুলো। তাতে রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন কমছে। করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের চিংড়ি ও মাছের চাহিদা এবং মূল্য দুটিই কমেছে। আবার দেশের বাজারে দাম বেড়েছে,ফলে রপ্তানি কমছে।
এসময় নেতৃবৃন্দ পাটের ন্যায় চিংড়িকেও কৃষি পন্য ঘোষণা, খুলনা ও চট্টগ্রামে চিংড়ি শিল্পের জন্য আলাদা ইকনোমিক জোন স্থাপন,চিংড়ি রপ্তানিতে ব্যাংকের আলাদা সুদ হার নির্ধারণ ও নগদ সহায়তার বকেয়া পরিশোধ এর দাবী জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুর রহিম খান, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এর সিনিয়র সহ সভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ ও সদস্য শ্যামল দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।