বীজ আলু কেনা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। প্রতিবস্তা উচ্চ ফলনশীল আলু বীজে সরকার ও কোম্পানি নির্ধারিত দামের চেয়ে ৭শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাদের। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী এমওপিসহ প্রয়োজনীয় সার বিক্রিতেও নিচ্ছেন বেশি মূল্য।
দেশের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী জেলা জয়পুরহাট। মধ্য কার্তিক থেকেই আলুর বীজ রোপনের জন্য কৃষকরা তাদের জমিতে হাল চাষ করেন। এরপর প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে বীজ আলু রোপন করেন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। তবে এবার বীজ আলু কিনতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা উচ্চ ফলনশীল আলু বীজে সরকার কিংবা কোম্পানি নির্ধারিত দামের চেয়ে ৭শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে। এছাড়াও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী এমওপিসহ প্রয়োজনীয় সার বিক্রিতেও নিচ্ছেন বেশি দাম।
কৃষকরা জানান, আলু বীজের দাম অত্যন্ত বেশি। পাশাপাশি সারও কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। এভাবে চললে আলু চাষ বাদ দিতে হবে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় ডিলারদের দাবি, কোম্পানি ও সরকার নির্ধারিত মূল্যেই আলুর বীজ ও সার বিক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তবে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে সার ও বীজ বিক্রি করতে প্রত্যেক ডিলারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের শস্য বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৫০টির অধিক মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ইতোমধ্যে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও টাস্কফোর্স অভিযান অব্যাহত আছে। গত ১৫ দিনে ৫০টির মতো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একাধিক ব্যবসায়িকে জরিমানা ও তাদের ডিলারশিপ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম আগামীতেও চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, জেলায় এবার ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য শস্যটির বীজ প্রয়োজন ৬০ হাজার মেট্রিক টন।