গাজীপুরে তিন পোশাক শ্রমিককে যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়ার জেরে উত্তেজিত শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া টানা পঞ্চম দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকেরা। এতে কাশিমপুরসহ এলাকার আশপাশের বেশ কিছু কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকেই অবরোধের কারণে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে যান চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকল্প পথে দূরপাল্লার যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহন ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর বাইপাস হয়ে চলাচল করছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর কাশিমপুর এলাকার পরিদর্শক রাজিব হোসেন বলেন, বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোরে পলাশ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস হামিম গ্রুপের একটি কারখানার কয়েকজন পোশাক শ্রমিককে চাপা দিলে তাদের মধ্যে তিনজন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল থেকে শ্রমিরা নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তবে আহত ওই তিন শ্রমিকের মধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে একজন বাড়ি ফিরে গেছেন এবং অপর দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে দুই ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু হয়। কিন্তু বকেয়া বেতন পরিশাধের দাবি নিয়ে ফের মহাসড়কে নামেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। টানা ৫ম দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় আবারও বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেনাবাহিনীর সদস্যদরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছে। এছাড়া শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
কাশিমপুর থানার পরিদশক (তদন্ত) মহিউদ্দিন বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা টানা ৫দিন ধরে তাদের অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। বেক্সিমকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) আব্দুল লতিফ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছেন তারা ব্যাংক থেকে আর্থিক সাপোর্ট চেয়েছিলেন, ব্যাংক থেকে এক মাসের টাকা সাপোর্ট পাওয়া গেছে। আগামীকাল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।