ঢাকাবুধবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

যশোর পৌরসভা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদেরকে লাইসেন্স দিবে স্থানীয় সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩ ৯:০৪ অপরাহ্ণ । ৩৫১ জন

তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় ও সহজলভ্যতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যশোর পৌরসভা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদেরকে লাইসেন্স দিবে। তবে লাইসেন্স গ্রহীতাদের অবশ্যই স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ গাইডলাইনের আদেশ-নিষেধ মেনে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকারের নির্দেশিকা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও এনটিসিসিকে রিপোর্ট প্রেরণের‌ জন্য সংবেদনশীল করুন শীর্ষক সভা আজ যশোর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। তামাক বিরোধী সংগঠন এইড ফাউন্ডেশন, সোশ্যাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানিজশন (SCDO) ও যশোর পৌরসভার সম্মিলিত উদ্যোগে সমন্বয় সভায় যশোর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার, মোহাম্মদ জায়েদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের যশোর জেলার সদস্য সংগঠন SCDO এর নির্বাহী পরিচালক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা (তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প) কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বাগেরহাট সদর পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, রবীন্দ্রনাথ রাহা; প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উত্তম কুমার কুন্ডু; প্রধান সহকারী, মোঃ সেলিম রেজা; স্যানেটারি ইন্সপেক্টর, মোঃ আসাদুজ্জামান; কর আদায়কারী, মোঃ আসাদুজ্জামান; লাইসেন্স ইন্সপেক্টর, মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

সকলের সম্মিলিত আলোচনা শেষে সভাপতির বক্তব্যে, কিছু সিদ্ধান্ত উঠে আসে। তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার গাইডলাইন বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের নিয়ে ফোকাল পার্সন এর অধীনে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। পাশাপাশি বর্তমানে প্রদানকৃত সকল লাইসেন্সে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে যে উক্ত লাইসেন্স তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য নয়।

তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রেতাদের তালিকা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পরবর্তীতে কিছু নির্দিষ্ট বিক্রেতাদের তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রয়ের লাইসেন্স প্রদান করা হবে। লাইসেন্স ব্যতীত কোন দোকান পৌরসভায় থাকবে না। লাইসেন্স ব্যতীত দোকান থাকলে তা মনিটরিং এর মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ করা হবে। খুব দ্রুতই মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর মনিটরিং টিম তাদের অগ্রগতি বিষয়ে মিটিং করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সর্বপরি উল্লেখিত সকল বিষয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদেরকে অনুরোধ করেন।