ঢাকামঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

নিরাপদ সড়কের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ রাষ্ট্র ও সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ ৪:২৩ অপরাহ্ণ । ১০ জন

নিরাপদ সড়কের জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র ও সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর যারা রাষ্ট্রের চালক ছিল তারা জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। মানুষ শুধু সড়কে নয়, নিজ ঘরের বেডরুমেও নিরাপদ ছিল না। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সড়কে, ঘরে এমনকি মায়ের কোলের শিশুকেও তারা গুলি করে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ রাজনীতির সড়কে লাশ আর রক্ত ফেলার কাজে নিয়োজিত ছিল। জনগণের জান ও মাল তাদের হাতে নিরাপদ ছিল না।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ডেকে নিয়ে তাদের কর্মসূচি নাগরিক স্বার্থে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ট্রাকলীগ দিয়ে সড়কে ট্রাকচাপা দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এবং এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কোনো স্বাধীন দেশের পতাকা প্রতিবেশী রাষ্ট্র অবমাননা করতে পারে না। গণতান্ত্রিক কোনো দেশে অপর দেশের সহকারী হাইকমিশনার কার্যালয় ভাঙচুর করতে পারে না। নিরাপদ সড়কের জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র প্রয়োজন। আর নিরাপদ রাষ্ট্রের জন্য নিরাপদ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রয়োজন। এই প্রতিবেশী শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো পৃথিবীর জন্য হুমকি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাঙালি জাতি এক ও অভিন্ন। আমাদের পরিচয় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী বা উপজাতি নয়, আমাদের পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি। অতীতে যেমন আমরা সব অপশক্তি এক ও অভিন্ন হয়ে মোকাবিলা করেছি আগামীতেও আমরা এক ও অভিন্ন হয়ে মোকাবিলা করবো।

নিরাপদ সড়ক চাই’র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।