ঢাকাবুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বন্যায় ৩০ জনের মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত সহস্রাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ ১২:০২ অপরাহ্ণ । ১১ জন

প্রবল বন্যায় মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। উভয় দেশ আরও প্রত্যাশিত ভারী বৃষ্টিপাতের আগে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানিয়েছেন, দেশটির পূর্ব উপকূলে পাঁচ দিনের অপ্রত্যাশিতভাবে কেলানতান ও তেরেঙ্গানুতে ছয় মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় বিস্তীর্ণ ধানখেত ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের কয়েক মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং সরকারি অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলো ক্রমবর্ধমান পানির কারণে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নৌকা ব্যবহার করে।

বন্যার পানি অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়ায় নিজের জিনিসপত্র বাঁচানোর চেষ্টার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন কেলানতানের টুমপাট জেলার শ্রমিক আইয়ুব ওথমান। আরেকজন গ্রামবাসী আসমাহ ইব্রাহিম তার বাড়ি মেরামতের আর্থিক বোঝা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। বাড়ি মেরামতে অন্তত ৪০ হাজার রিঙ্গিত (৯ হাজার ডলার) খরচ হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

আনোয়ার সংসদে বলেন, বন্যা সম্পর্কিত অবকাঠামো মেরামতের পরিমাণ ১ বিলিয়ন রিঙ্গিত (২২৪ মিলিয়ন ডলার) হতে পারে। বন্যায় যাদের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে। সপ্তাগের শেষদিকে বৃষ্টিপাত কমলেও আবহাওয়াবিদরা রবিবার থেকে নতুন করে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার কমান্ড সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যের প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের অধিকাংশই কেলানতান ও তেরেঙ্গানু। এই বন্যায় মালয়েশিয়ায় ছয়জন এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

থাইল্যান্ডের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় তিন লাখেরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্কুল ও ৯৮টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ৩৪ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আরও ভারী বৃষ্টিপাত মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় উদ্ধারকারী দল এবং সরঞ্জাম মোতায়েন করছে। বন্যার কারণে পর্যটন খাতেও ধস নেমেছে। মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা সতর্কতামূলকভাবে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় অবকাশ যাপনের গন্তব্যগুলোতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।