পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সহস্রাধিক হয়েছে। আহত আছেন কয়েক হাজার। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইঘিল অঞ্চলে আজ স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, প্রথম কম্পনের ১৯ মিনিট পর ৪ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রের নিকটতম শহর মারাকেচের বাসিন্দারা জানান, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের কিছু ভবন ধসে পড়েছে। স্থানীয় টেলিভিশনে ধসে পড়া একটি মসজিদের মিনারের ছবি দেখানো হয়েছে; যার ধ্বংসস্তূপ গাড়ির ওপর আছড়ে পড়েছে।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। টেলিভিশন বিবৃতিতে তারা বলেছে, ভূমিকম্পটি আল হাউজ, ওয়ারজাজেট, মারাকেচ, আজিলাল, চিচাউয়া এবং তারউদান্ত প্রদেশে আঘাত হেনেছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রের কাছের আস্নি গ্রামের বাসিন্দা মনতাসির ইত্রি জানান, গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। তাদের উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয়রা।
তারউদান্ট অঞ্চলের বাদিন্দা হামিদ আফকার বলেন, পৃথিবীটা প্রায় ২০ সেকেন্ডের জন্য কেঁপে উঠেছিল। আমি দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। ভয়ে নেমে পরি।
মরক্কোর জিওফিজিক্যাল সেন্টার বলছে, ইঘিল এলাকায় ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮। মারাকেশ শহরের ৭১ কি.মি দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূগর্ভের সাড়ে ১৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল।
এর আগে মরক্কোয় ২০০৪ সালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৬ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান।
জাতিসংঘ মরক্কোর সরকারকে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
সূত্র: রয়টার্স