ঢাকাবুধবার , ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

জলাবদ্ধতা নিরসনে ২১ খাল খননের উদ্যোগ চট্টগ্রাম মেয়রের

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৯, ২০২৫ ৫:২৩ অপরাহ্ণ । ৭ জন

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বরাদ্দ ১৪ হাজার কোটি টাকার বাইরে গিয়ে নতুন করে বাকি ২১টি খাল খননের উদ্দোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ায় কুষি খাল খনন উদ্বোধন করে এর যাত্রা শুরু করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল দখলমুক্ত করতে আগামীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হলেও গুরুত্বপূর্ণ ৫৭টি খালের মধ্যে খনন হচ্ছে না ২১টি খাল। যে কারনে জলাবদ্ধতা নিরসন পুরোপুরি সম্ভব হবে না। তাই পুরোপুরি জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন মেয়র বাকি ২১টি খাল খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বর্ষাকালে বহদ্দারহাট-বাকলিয়ায় সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা হয়। তাই কৃষিখাল খননের উদ্যোগ নিয়েছি। মেয়র হওয়ার পরপরই খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু আবারও ময়লায় ভরে গেছে। এখন আমরা ৯০০ ফুটের খালটি পরিষ্কার করছি। এটি পরিষ্কার হলে বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও এলাকার জলাবদ্ধতার পানি নেমে যাবে চাকতাই খালে এবং সেখান থেকে কর্ণফুলী নদীতে পৌঁছাবে।’

তিনি জানান, মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খালের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন নিজ উদ্যোগে পরিস্কার করবে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এবার বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কষ্ট যেন না হয়, সে লক্ষ্যে সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়মিত সমন্বয় সভা করছে এবং সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করছে।’

অবৈধভাবে দোকান ও ভবন নির্মাণ এবং খালে ময়লা ফেলার কারণে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জনসচেতনতার বিকল্প নেই। মানুষকে আগে এগিয়ে আসতে হবে। তবে আমরা দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শুরু করব খাল দখলমুক্ত করতে।