ছুটির দিনেও জনবহুল রাজধানী ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ রয়েছে। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়াসহ ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রেহাই মিলছে না নাগরিকদের। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
জনাকীর্ণ এই শহরটির বাতাসের মানে মাঝে মাঝে খুব সামান্য উন্নত হলেও অধিকাংশ সময়েই দূষণে শীর্ষস্থানগুলোতে থাকছে। বাতাসের মানোন্নয়নে কোনো সুখবরও দিতে পারছে না সরকার।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে, ঢাকায় বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৪৬ লাখের বেশি। ইআইইউ গ্লোবাল লাইভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৪ অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অনুপযোগী শহরের একটি ঢাকা। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেরও পরে ঢাকার অবস্থান।
শীর্ষ দূষণের তালিকায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে কুয়েত, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও পাকিস্তানের লাহোর। তাদের একিউআই স্কোর যথাক্রমে ৩৯০, ২৫৫ এবং ১৮৬।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।