ঢাকাশনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিশ্ববাজারে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫ ১২:০৮ অপরাহ্ণ । ৩ জন

চলতি বছরের প্রথম মাসেই বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। যদিও এখনও তা গত বছরের চেয়ে বেশিতে বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) চিনি ও দানাদার খাদ্যের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে বরাবরের মতোই ঊর্ধ্বগতিতে ছুটছে দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য।

দেশের বাজারে উচ্চমূল্যের চাপে যখন নাভিশ্বাস দশা সাধারণ মানুষের তখন এফএও জানাচ্ছে, বিশ্ববাজারে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম। সংস্থাটির মাসিক প্রতিবেদন, গত বছর ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে এক বছর আগের তুলনায় দাম এখনও ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এফএও জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারি মাসে দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। যা ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কম।

এ সময়ে সবচেয়ে বেশি কমেছে চিনির দাম। গত ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে এই পণ্যের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, যা এক বছর আগের তুলনায় সাড়ে ১৮ শতাংশ কম। আর ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা ট্রেডিং ইকোনোমিকসের পূর্বাভাস, চলতি বছরজুড়েই বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী থাকবে চিনির দাম।

এদিকে, ডিসেম্বরের তুলনায় ভোজ্যতেলের দাম ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমলেও গত বছরের জানুয়ারির তা এখনও প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। ট্রেডিং ইকোনোমিকসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর জুড়ে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম নিম্নমুখী থাকার কথা থাকলেও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সূর্যমূখী তেলের মূল্য।

অন্যদিকে বরাবরের মতোই ভোক্তাকে ভোগাতে উল্টোপথে হেঁটেছে দুগ্ধজাত পণ্য। বিশ্ববাজারে গেল মাসে এই পণ্যের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এফএওর হিসাব মতে, যা এক বছর আগের তুলনায় বিশ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি দামে বেচাকেনা হয়েছে।