ঢাকারবিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘চিনি শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে কার্যক্রম চলমান আছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩ ১১:২৭ অপরাহ্ণ । ১৬৪ জন

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা আজ রোববার জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে অবস্থিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড পরিদর্শন এবং ২০২৩-২৪ মৌসুমের আখ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এসময় তিনি সাধারণ আখ চাষী, নেতৃবৃন্দ, চিনিকলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের সাথে মত বিনিময় করেন এবং চিনি কল সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

এর আগে তিনি জিল বাংলা সুগার মিলের উদ্যোগে জিবাসুমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গুণগত মান সম্পন্ন আখ উৎপাদন ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান অপু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, চিনি শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চিনি শিল্পকে উচ্চস্থানে নিয়ে যেতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, চিনি শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনতে বহু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আখ চাষে কৃষকের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আখের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিমণ আখ ২২০ টাকা করা হয়েছে। আসন্ন ২০২৩-২৪ মৌসুমে মণ প্রতি ২৪০ টাকা প্রদান করা হবে। কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে ভালো জাতের আখের বীজ ও সার সরবরাহ করা হচ্ছে। বিকাশের মাধ্যমে দ্রততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের আখের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল আখ চাষের পাইলটিং করে একর প্রতি আখ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বন্ধু সেবা’ অ্যাপস চালু করা হয়েছে যাতে প্রায় ৬৫ হাজার আখ চাষী যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে কৃষকরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাচ্ছেন। যে ছয়টি চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত আছে, সে সকল মিল এলাকায় আখ উৎপাদন অব্যাহত আছে। উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আখ উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করার কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের কাছে সরকারের পাওনা টাকা বা ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এই ঋণের উপর যেন বছর বছর সুদ যুক্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ যেমন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি চিনি শিল্পসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে এগিয়ে যেতে পারি সেলক্ষ্যে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য ১৯৫৮ সালে স্থাপিত জিল বাংলা সুগার মিলে ২০২২-২৩ মৌসুমে আখ থেকে চিনি রিকোভারীর হার ছিল ৬.৬১%। ২০২৩-২৪ মৌসুমে এ চিনি কলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজর ৭৯৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন। এতে আখ থেকে চিনি রিকোভারীর হার হবে ৬.৯০%।