ঢাকাশুক্রবার , ১৪ মার্চ ২০২৫

রমজানে মাংসের বাজার স্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৪, ২০২৫ ৪:১৫ অপরাহ্ণ । ৭ জন

রমজানে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম। মাঝের যোগান কম থাকায় বেড়েছে এর দাম। এছাড়া শীত মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে অনেক শাক-সবজির দাম।

সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী ও সানারপাড় এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, সোনালী মুরগি ৩১০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার মুরগির ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে তেলাপিয়া মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাতলা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ মাছ আকার ভেদে ৮০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি, ইলিশ ধরায় বিধি-নিষেধ থাকায়, সাগরের মাছের যোগান কমেছে। আকারভেদে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজির নীচে মিলছে না চিংড়ি মাছ। আইড়-বোয়ালসহ বিভিন্ন নদ-নদীর মাছের জন্য দিতে হবে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।

এছাড়া চাষের মাগুর মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের কই ৮০০ টাকা, পোয়া মাছ আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৭০০ থেকে ১১০০ টাকা, তেলাপিয়া-পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, মৃগেল ও ব্রিগেড মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বাটা মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রোজার আগে হঠাৎ করে চড়ে যাওয়া খাসির মাংসের দাম কেজিতে ২০০ টাকা কমে মিলছে ১১০০ টাকায়। ডিমের দামও হ্রাস পেয়েছে। ডজন ১৩৫-১৪০ থেকে কমে এখন ১১০ টাকায় নেমেছ। তবে হালি হিসেবে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

যাত্রাবাড়ী একালাকার ব্যবসায়ী কাশেম আলী বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি এখানে। মাছের বাজার এখনও তেমন কমেনি। আশা করি কমবে।

সদাই করতে আসা শামীম হোসেন বলেন, রমজানে মাছ-মাংসের দর একটু বেশি হলেও তা আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। আমি দুই কেজি রুই কিনেছি ৩৫০ টাকা দরে।