ঢাকাশনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চিনিকলগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে : শিল্প সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ৬:০০ অপরাহ্ণ । ১৭১ জন

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, দেশের চিনিকলগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চিনিকলগুলোতে শুধু চিনি উৎপাদনের উপর নির্ভর না করে উপজাত দ্রব্যকে ব্যবহার করে পণ্য তৈরিতে জোর দেয়া হচ্ছে। দেশি বিদেশি উদ্যোক্তাদের নিয়ে যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।

আজ শনিবার ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে ফরিদপুর সুগার মিলের ফসুমি প্রশিক্ষণ ভবনে গুনগত মানসম্পন্ন আখ উৎপাদন ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আখচাষী, শ্রমিক – কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান অপুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার।

শিল্প সচিন বলেন, চিনি শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনতে বহু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আখ চাষে কৃষকের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আখের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিমণ আখ ২২০ টাকা করা হয়েছে। আসন্ন ২০২৩-২৪ মৌসুমে মণ প্রতি ২৪০ টাকা প্রদান করা হবে। কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে ভালো জাতের আখের বীজ ও সার সরবরাহ করা হচ্ছে। বিকাশের মাধ্যমে দ্রততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের আখের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল আখ চাষের পাইলটিং করে একর প্রতি আখ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বন্ধু সেবা’ অ্যাপস চালু করা হয়েছে যাতে প্রায় ৬৫ হাজার আখ চাষী যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে কৃষকরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাচ্ছেন। যে ছয়টি চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত আছে, সে সকল মিল এলাকায় আখ উৎপাদন অব্যাহত আছে। উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আখ উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করার কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের কাছে সরকারের পাওনা টাকা বা ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এই ঋণের উপর যেন বছর বছর সুদ যুক্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ যেমন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি চিনি শিল্পসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে এগিয়ে যেতে পারি সেলক্ষ্যে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুর সুগার মিলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার তাগিদ দিয়ে তিমি বলেন, এ চিনিকলটি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব আশা করি।