ঢাকাবুধবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

ওয়েবিনারে বক্তারা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে তামাক কর নীতি প্রণয়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৫, ২০২৩ ৪:২২ অপরাহ্ণ । ৩২১ জন

উচ্চ মূল্য ও করারোপ বিশ্বব্যাপি তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হলেও বাংলাদেশে ত্রুটিপূর্ণ কর ব্যবস্থার কারণে এর যথেষ্ট সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ত্রুটিপূর্ণ তামাক কর ব্যবস্থাকে একটি গ্রহনযোগ্য নিয়মের মধ্যে আনতে একটি শক্তিশালি তামা কর নীতি প্রণয়ন করতে হবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে এটি হবে একটি কার্যকর পদক্ষেপ।

আজ বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ সকাল ১১ টায় অনলাইন মিটিং সফটওয়ার জুমে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক কর নীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এ দাবি করেন। বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

ওয়েবিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি ও বিএনটিটিপির সদস্য অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক এবং প্যানেল আলোচক ছিলেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন, একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক ও বিএনটিটিপির সদস্য সুশান্ত সিনহা এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি হেলথ সায়েন্সেসের অসংক্রামক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পলাশ চন্দ্র বনিক।

ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপি’র প্রজেক্ট অফিসার ইব্রাহীম খলিল এবং ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন বিএনটিটিপি’র গবেষণা সহযোগী ইশরাত জাহান ঐশী।

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে একটি শক্তিশালী তামাক-শুল্ক নীতি গ্রহণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছন। কিন্ত ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘোষণা বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপে বর্তমানে প্রচলিত অ্যাড ভেলোরেম পদ্ধতি জটিল ও ত্রুটিপূর্ণ। ত্রুটিপূর্ণ এ করারোপ পদ্ধতির কারণে তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়লেও তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত হারে কমছে না। ফলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে অতিদ্রুত তামাক কর নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারজনিত রোগের কারণে দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। ফলে তামাকজনিত মৃত্যু কমিয়ে নিয়ে আসতে এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট হারে করারোপ না করার কোনো সুযোগ নেই।

ওয়েবিনারে তারা আরও বলেন, তামাক কোম্পানি নানাভাবে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৪৫০০ কোটি টাকা রাজস্বা ফাঁকি দিয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। প্রতিবছর যেভাবে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয় সেটা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফলে তামাকজনিত রোগে মৃত্যুর হার কমিয়ে নিয়ে আসতে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়াতে তামাক কর নীতি প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই।