ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছালো হলো ১০৩ বার

সাগর-রুনি হত্যা মামলা :আবার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময়

পাবলিকহেলথ ডেস্ক
নভেম্বর ১৬, ২০২৩ ৪:৩২ অপরাহ্ণ । ৩২৬ জন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবার পেছানো হয়েছে। এ পর্যন্ত এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১০৩ বার পেছানো হলো।

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের ধার্য তারিখ ছিল আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর)। কিন্তু র‍্যাবের পক্ষ থেকে আজও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন আগামী ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চারদিনেও তারা কোনো রহস্য উৎঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত হস্তান্তর করা হয় মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হাতে।  দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। উচ্চ আদলতে তারা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার গ্রহণ করে এলিট ফোর্স খ্যাত ‘র‌্যাব’।

তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় এসে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব আসামিদের অচিরেই শনাক্ত করার আভাস দিয়েছিল। আদালতে জমা দেওয়া র‍্যাবের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, অজ্ঞাতপরিচয়ের দুই পুরুষকে শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দুজন জামিনে আছেন, বাকি ছয়জন কারাগারে। এখন পর্যন্ত ছয় কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেছেন, যার মধ্যে আছেন র‍্যাবের চার কর্মকর্তা।