ঢাকাসোমবার , ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস পালিত

সড়কে প্রাণহানি কমাতে আলাদা আইনের তাগিদ

পাবলিকহেলথ ডেস্ক
নভেম্বর ২০, ২০২৩ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ । ১৮৬ জন

সড়কে প্রাণহানি কমাতে হলে জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে বিদ্যমান আইনের বাইরে আলাদা করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন— এমন তাগিদই জানিয়েছেন বক্তারা। গতকাল ১৯ নভেম্বর নিটোরে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তারা এ তাগিদ জানান।

সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো— ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্রাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।

রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সেমিনার ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পনুর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোরের সামনে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে এক শোভাযাত্রা বের হয়। এতে অংশ নেন সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শোভাযাত্রা [ছবি : বাসস]

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেন, যে যেভাবে পারছে সড়ক ব্যবহার করছে। এর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। তিনি বলেন, সড়কে প্রাণহানি প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য উন্নত দেশের মতো জাতিসংঘ স্বীকৃত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের ইন-কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, সড়ককে নিরাপদ করতে বিদ্যমান আইনের বাইরে আলাদা করে আইন প্রণয়ন করা জরুরি।

সেমিনারে বলা হয়, শুধু গতি নিয়ন্ত্রণ ও পরিবীক্ষণ, সিটবেল্ট, শিশুদের জন্য বিশেষায়িত সিটের ব্যবস্থা ও সঠিক মানের হেলমেট ব্যবহারে মৃত্যুঝুঁকি কমে। এ জন্যে আলাদা রোড সেফটি আইন প্রণয়ন জরুরি।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন ও সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।