২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৪ বছর ৯ মাস সময়সীমার মধ্যে ২ হাজার ৫৯০ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু এ বছরই হত্যার শিকার হয়েছে ৪৪৯ জন শিশু। প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এ-সময়ে সহিংসতার শিকার হয়েছে ৮ হাজার ৮৩২ জন শিশু। ধর্ষণের শিকার হয় ৩ হাজার ৫৯৬ জন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৫৮০ জন। এসব ঘটনার বিপরীতে মামলা হয় ৪ হাজার ৬৭৫টি। সাজা পায় মাত্র ২৪ জন অপরাধী। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১৫-১৯ বছরের মেয়েদের বাল্যবিবাহ বেড়েছে ১০ শতাংশ।
গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব তথ্য জানানো হয়। উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়, এবছর (২০২৩) ৯৭১ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হত্যার শিকার হয়েছে ৪৪৯ জন। এছাড়া শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়েছে ২৩৯ জন। এছাড়া শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ৩৯২ এবং বলাৎকারের শিকার হয় ৬৯ ছেলে শিশু। অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি, কারণ গণমাধ্যম প্রচারিত সংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যা প্রকাশ করা হয়।
চাইল্ড রাইটস কোয়ালিশন (বাংলাদেশের ১০টি শিশু অধিকারভিত্তিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং নেটওয়ার্কর সমন্বয়ে গঠিত একটি প্ল্যাটফরম)-এর নেতৃবৃন্দ ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ : বাংলাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় বসেন। তারা শিশু অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগের সমন্বয় সাধন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল। উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের চাইল্ড প্রোটেকশন অ্যান্ড চাইল্ড রাইটস গভার্নেন্স-এর পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের সমন্বয়ক সাফিয়া সামি প্রমুখ। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন আসকের সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি।