ঢাকামঙ্গলবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই— পাকিস্তান

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের বৈধতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

পাবলিক হেলথ ডেস্ক
ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ ১০:৩২ অপরাহ্ণ । ১৩৪ জন

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আজ ১২ ডিসেম্বর দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন। এর মাধ্যমে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল সংক্রান্ত মামলা চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর বিশেষ সুবিধা পেত।

এই রায়ের ফলে চার বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত বৈধতা পেয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। আজ সোমবার এই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের ভূখণ্ড থেকে আলাদা নয়, তাই তাদের কেন্দ্রীয় সংবিধান মেনেই রাজ্য পরিচালনা করতে হবে।

রায়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ২০২৪-এর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আজ সোমবার এই রায় দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতার ব্যবহারে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজের উদ্যোগকে এই আদালত বৈধ হিসেবে বিবেচনা কড়ছে।’

আদালতের বেঞ্চ একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদায় ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেয়। ২০১৯-এর আগস্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজের পর থেকে এটি একটি কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।

 

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই— পাকিস্তান

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে বহাল থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি এই রায়কে ‘বিচারব্যবস্থার উপহাস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কাশ্মীরকে নিয়ে ভারতের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের ওপর ভারতের সংবিধান চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করে না পাকিস্তান। এর কোনো বৈধতা নেই। তিনি বলেন, ভারত তাদের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা ভুলে স্থানীয় আইন তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না। জম্মু-কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে।

পাকিস্তান কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সর্বোচ্চ রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দেন জলিল আব্বাস।