শারীরিক সক্রিয়তা নিয়ে ব্রাকের সেন্টার ফর নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস অ্যান্ড নিউট্রেশন (সিএনসিডিএন) সাম্প্রতিক এক গবেষণা চালিয়েছে। বাংলাদেশের সবগুলো বিভাগে তারা এ অনুসন্ধান চালিয়েছে।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে—
শারীরিক সক্রিয়তায় অক্ষম :
১৭.৫% প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত সাপ্তাহিক ন্যূনতম ১৫০ মিনিট শারীরিক সক্রিয় কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারে না।
গ্রাম-শহরের অসমতার হার :
অনুসন্ধান বলেছে, গ্রামাঞ্চলে এই হার ১৭%, তুলনায় শহরে প্রায় ২১%
লৈঙ্গিক পার্থক্যের হার :
নারীর হার ১৫%, আর পুরুষের হার ২০%
জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএসএস) ২০১৮-১৯এর ভিত্তিতে সিএনসিডএন কিশোর-কিশোরীদের নমুনা নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে—
কিশোর-বয়সীদের শারীরিক অক্রিয়তায় ব্যাপকতার হার :
- বালিকাদের মধ্যে ৫০.৩%
- বালকদের মধ্যে ২৯.০%
অঞ্চলভিত্তিক বৈচিত্র্য :
১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সেীদের চেয়ে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে শারীরিক সক্রিয়তার হার বেশ কম।
বস্তির বাইরের এলাকাগুলোতে এ হার সবচেয়ে বেশি :
বালিকাদের মধ্যে ৭৭.৭% এবং বালকদের মধ্যে ৬৪.১%।
গবেষণা বলছে, শারীরিক সক্রিয়তার অনুপস্থিতি অকাল মৃত্যুর হার বাড়ায়। শারীরিকভাবে অক্রিয় ব্যক্তিরা সক্রিয় ব্যক্তিদের চেয়ে ২০-৩০ ভাগ বেশি ঝুঁকিতে থাকে।