বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে একসাথে কাজ করবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও আরণ্যক ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশে যৌথ কার্যক্রম হাতে নেবে এই দুই প্রতিষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় বন, পরিবেশ, ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে। গবেষক ও বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগকেও জোরদার করতে একমত হয়েছে স্বাক্ষরকারী দুই প্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে যৌথভাবে প্রাসঙ্গিক কর্মশালা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। সমঝোতা স্মারকের আওতায় আরণ্যক ফাউন্ডেশনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
সমঝোতা স্মারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের পক্ষে এর চেয়ারপার্সন ও শাহজালান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেডএম মনজুর রশীদ স্মাক্ষর করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন পিএইচডি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ মো. বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গত ২০ বছর ধরে দেশের প্র্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৯টি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।