ঢাকাশুক্রবার , ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

প্রতিদিন মাংসের চাহিদা মেটাতে জবাই হয় ৯ লাখ গরু, ১৪ লাখ খাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ১২, ২০২৪ ৬:২৬ অপরাহ্ণ । ১৬৩ জন

বর্তমানে বিশ্বে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ কোটি ৫০ লাখ। বিশ্বব্যাপী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ ৮ কোটি ৩০ লাখ। বার্ষিক গড় হিসেবে যা ১.১%।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিশ্বে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমিষের চাহিদা। কেননা আমিষ আমাদের খাদ্যের ছয়টি উপাদনের একটি। এটি হলো সব জীবের মুখ্য উপাদান। যা দেহে কোষ গঠনে কাজ করে।

এছাড়া পৃথিবীতে ভোজন রসিক মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। যে তালিকায় বাঙালিরা হয়তো সবার ওপরে। যেমন কষা মাংসের লোভ ছাড়তে পারে এমন লোক আশপাশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

মানবদেহে আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য মূলত মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি, মাছ, ডিম, শস্যদানা, শিম ও শুঁটিজাতীয় উদ্ভিদ, বাদাম এবং ভক্ষণযোগ্য কীটপতঙ্গের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে ভোজন রসিকরা জিহ্বার স্বাদ মেটাতে লোভনীয় মাংসের বিকল্প খোঁজেন না নিশ্চয়। যেকারণে প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী ও শুকরের যোগান দিতে হয়।

সম্প্রতি বৈশ্বিক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল র্যাঙ্কিং এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে, যা চোখ কপালে ওঠার মত।প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, আমিষ ও ভোজন রসিকদের চাহিদা মেটাতে বিশ্বে প্রতিদিন অন্তত ৯ লাখ গরু, ১৪ লাখ ছাগল, ১৭ লাখ ভেড়া ও ৩৮ লাখ শুকরের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি যোগান দিতে হয় ১ কোটি ২০ লাখ হাঁস, ২০ কোটি ২০ লাখ মুরগী ও অন্তত ১০০ মিলিয়ন মাছ।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ থাকতে পরিমিত মাংস খেতে হবে। অতিরিক্ত মাংস খেলে ক্ষতিকর রোগবালাই এসে ভর করে শরীরের ওপর। যা একসময় কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ, কিডনি ও ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।