ঘন কুয়াশার মধ্যে ব্যাগ কাঁধে স্কুলে যাচ্ছে দুই শিক্ষার্থী
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও নওগাঁর সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। অথচ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে গেলে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা।
রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
নওগাঁর কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, সবকয়টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল কম।
নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয় খোলা রাখার কোনো কারণ দেখি না। প্রতিদিনই খবরে দেখছি, হাসপাতালে শীতজনিত শিশুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় সন্তানকে স্কুলে পাঠাতেই ভয় লাগছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ কিছুদিনের জন্য অন্তত স্কুল বন্ধ রাখা হোক।’
নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুর রহমান বলেন, ‘শীতের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি খুবই কম। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয় বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু আজ খোলা আছে।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলছেন, তাপমাত্রা কোনোদিন কমছে, আবার কোনোদিন বাড়ছে। এ কারণে তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। মঙ্গলবার মাউশি থেকে নির্দেশনা আসে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা যাবে। এ ঘোষণা আসার পর বুধবার জেলার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার আবার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির ওপরে ছিল। শনিবার আবার তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। আজ আরও কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি।