কৃষি সেচের জন্য সোলার ফটোভোল্টাইক পাম্পিং সিস্টেমের বিস্তার, সেচ মৌসুমে গ্রীডের উপর বিদ্যুতের হঠাৎ অতিরিক্ত চাপ হ্রাস করা এবং ডিজেল চালিত পাম্প পরিহারের মাধ্যমে দূষিত পদার্থের নির্গমন হ্রাস করতে সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ (২য় সংশোধিত) অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি(একনেক)সভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ৫৯৪ কোটি টাকার প্রকল্পটি ৮ বিভাগের ২২ জেলায় আগামী ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড । প্রকল্প এলাকায় ৫ ক্যাটাগরির মোট ২০০০টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে।প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সেচ মৌসুমে গ্রিডের উপর বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাপ হ্রাস পাবে। বছরে প্রায় ৮০.৫৯ লক্ষ লিটার ডিজেল সাশ্রয় হবে, ফলে প্রতিবছর প্রায় ১৩৬০০ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে এবং পরিবেশ দূষণ কমবে। এছাড়াও পরিবেশ বান্ধব এ পাম্পসমূহ সেচ কাজে ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে বিক্রয় করা যাবে, যা পাম্প ব্যবহারকারী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। বর্ণিতাবস্থায়, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ (২য় সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৫৯৪.৫২২২ কোটি (জিওবি ৯৭.৮৪১৪ কোটি, প্রকল্প সহায়তা (ঋণ ও অনুদান) ৪৭৮.৪৬৬০ কোটি এবং নিজস্ব ১৮.২১৪৮ কোটি) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০১৮ হতে ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেক সভা অনুমোদন দেওয়ার কথা জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রকল্পটির অনুকূলে জিওবি খাতে মোট ১৮.১৩ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ১০১.০০ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব ০.৫৯ কোটি টাকাসহ মোট ১১৯.৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত হতে সংযোজনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং এ প্রেক্ষিতে, ৩.০৫% পর্যন্ত অর্জিত হয়েছিল। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বর্ণিত ১০% লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সোলার ও উইন্ড পাওয়ারের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্জিত মোট নবায়নযোগ্য জ্বালানীর হার ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে বৃদ্ধির জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০০টি সোলার পাম্প স্থাপিত হলে সোলার প্যানেলের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হবে প্রায় ১৯.৩ মেগাওয়াট (পিক), যা ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রার সাথে সংগতিপূর্ণ বলে জানানো হয় একনেক সভায়।