ঢাকামঙ্গলবার , ২০ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

তামাক কোম্পানিকে মুনাফার সুযোগ দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী : সংসদে সাবের হোসেন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুন ২০, ২০২৩ ১২:৫১ অপরাহ্ণ । ৬৯৪ জন

বাংলাদেশের প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় তামাকের কারণে। আমরা করোনার তিন বছরে দেখলাম ৩ হাজার মানুষের বেশি মৃত্যুবরণ করেনি। তাহলে যারা তামাক পণ্য তৈরি করেন,  তাদেরকে কেন অর্থমন্ত্রী প্রতিবছর সুবিধা দেন?   জাতীয় সংসদে বাজেটে আলোচনায় অংশ নিয়ে  এই প্রশ্ন তুলে ধরেন সাবের হোসেন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, মাননীয় স্পিকার, বাজেটের পরে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ে। সেটা কেন বাড়ে, কারণ আমরা কর বাড়ায় বলে সেটার দাম বাড়ে। আর আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী যে কাজটি করেন, তিনি তামাকজাত পণ্যের দাম নিজেই বাড়িয়ে দেন। এটা কি কথা? নিজে দাম বাড়িয়ে দিয়ে তামাক কোম্পানিকে একটা বাড়তি মুনাফার সুযোগ করে দিচ্ছেন! তারপর ওইটার উপরে কর আরোপ করে। তো কর যদি আরোপই করতে হয়,এমনভাবে করেন যেন সরকার শত ভাগ করটা পায়। আপনারা তামাক কোম্পানিকে এইভাবে করে সুবিধা দিয়ে আমি দ্বিতীয় স্লাইডে দেখিয়েছি  ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ফাঁকির হিসাব দিয়ে দিয়েছি এখানে। এবং আমি চাই সংসদ প্রসিডিংসে যেন থাকে এ তিনটি স্লাইড।এই সুবিধা উনি (অর্থমন্ত্রী) কেন দিচ্ছেন তামাক কোম্পানিকে? আমরা কেন একটা পণ্যের দাম ঠিক করে দিই, বাংলাদেশে সরকার আর অন্য কোন পণ্যের দাম বাড়ায় না! শুধু একটা পণ্যের দাম বাড়ে সেটা হচ্ছে তামাক। এটা কি যুক্তি?  মাননীয় অর্থমন্ত্রী যদি ব্যাখা দেন তাহলে আমরা সবাই উপকৃত হবো বলে ও জানান সাবের হোসেন চৌধুরী

মাননীয় স্পিকার আমাকে রাজস্বের কথা বলা হয় যেটা আমি তৃতীয় স্লাইডে দেখিয়েছি। রাজস্ব পায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এটা আমার পরিসংখ্যান না, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আছেন, আমি যদি সত্যি তথ্য দিয়ে না থাকি তাহলে উনি বলবেন। আমাদের যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা আছে  সেখানেও এই পরিসংখ্যান আছে। বিপরীতে স্বাস্থ্যজনিত ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় বছরে। তাহলে তামাকের রাজস্বের কথা কেন বলা?

তৃতীয় স্লাইডে তুলে ধরে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অথচ গত কয়েক বছরেও এ নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে ক্ষোভ জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।