রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকার প্রণোদণার পাশাপাশি সম্প্রতি অফশোর ব্যাংকিং আইন পাশ করেছে জাতীয় সংসদে। আশা করছি, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ বৈধপথে দেশে পাঠাতে সরকার আরো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলেন, নবনিযুক্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি। আজ ৯ মার্চ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইপ্সিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রেমিট্যান্সের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। প্রবাসীরা বৈধপথে তাদের উপার্জিত আয় দেশে পাঠাতে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই অফশোর ব্যাংকিং আইন পাশ করেছে। আপনারা অফশোর ব্যাংকিং আইনের সুবিধাগুলো আপনাদের লেখনিতে তুলে ধরতে পারেন। এর আগে রেমিট্যান্সে বিশেষ প্রণোদনা চালু করা হয়েছে। সরকারের গৃহীত এসব পদক্ষেপ বেশি করে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে সাংবাদিকরা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন।
ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি সেক্টর যাতে সমানতালে এগিয়ে যায় সেজন্য আমাদের সরকারের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ছিন্নমূল পুনর্বাসন প্রকল্পসহ বহুমুখী উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার নিজের শহর চট্টগ্রাম। এখানেই জন্ম, এখানেই বেড়ে ওঠা এবং এখান থেকেই রাজনীতি শুরু করে আমি আজকের এ অবস্থানে এসেছি। স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রামের প্রতি আমার আলাদা করে টান থাকবে। আমি চেষ্টা করবো, আমার সাধ্যের মধ্যে থাকা সমস্ত সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার। আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন, আমার সাথে থাকবেন এবং বর্তমান সরকার ও আমার ভালো কাজগুলো বেশি বেশি করে প্রচার করবেন।
মত বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ সালাম।