নারী, শিশু ও তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের উপর অধিক হারে করারোপের দাবি প্রকাশ করেছে। আজ (১১ মার্চ) সোমবার সকালে ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংহতি প্রকাশ করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।
কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, তামাকজাত দ্রব্যের উপর অধিক হারে করারোপের মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে তামাক ব্যবহার থেকে বিরত করা যাবে এবং প্রায় ৫ লক্ষ তরুণ-তরুণী অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এমনকি, আগামী বাজেটে সুপারিশ অনুযায়ী তামাকপণ্যের বিদ্যমান কর সংস্কার করা হলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পাবে ১৩.৮০ শতাংশ। প্রায় ১৫ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে।
এছাড়াও, কার্যকর করারোপের মাধ্যমে বাড়তি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।
প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় তামাক গ্রহণের কারণে, শুধু বাংলাদেশেই ১ লক্ষ ৬১ হাজার। এরমধ্যে ১২ লাখ মানুষই প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। এছাড়া ৮৫% হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায় পরোক্ষ ধূমপান। এমনকি নারীদের ক্যান্সার ও হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বক্তারা জানান, বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ যারা ধূমপান করে তাদের মধ্যে ২০ কোটি নারী এবং প্রতি বছর প্রায় ২২ কোটি নারী তামাক সেবনের কারণে মারা যায়। এদের মধ্যে ৭১ শতাংশেরও বেশি নারী বাংলাদেশের মতো মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশে বাস করে। এসব অঞ্চলে তামাকজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি।
বিশ্বের অনেক দেশে নারীদের মধ্যে ধূমপানের হার বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশাপাশি তামাকের কারণে সৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যূত মানুষের মধ্যে ৮০ শতাংশই হচ্ছে নারী।