হৃদরোগ চিকিৎসায় অভাবনীয় সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল। হৃদরোগের ১২হাজার সফল অস্ত্রোপচারের মাইলফলক স্পর্শ করার মাধ্যমেএ দৃষ্টান্ত রাখলো প্রতিষ্ঠানটি।
সফলতা উদযাপন করতে গদ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে “আমরা আকাশ ছুঁয়েছি” শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে ল্যাবএইডকার্ডিয়াক হাসপাতালের প্রধান সার্জন ড. লুতফর রহমানহৃদরোগ চিকিৎসায় সফলতার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১২ হাজার সফল সার্জারির পথ-পরিক্রমা সহজ ছিলো না। কার্ডিয়াক সার্জারি অত্যন্ত সুক্ষ্ম একটি প্রক্রিয়া। এই দীর্ঘযাত্রায় তিনি সারাক্ষণ পাশে পেয়েছেন একটি সুদক্ষ টিম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগিতা। তিনি সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এম শামীম বলেন, হৃদরোগের মতো জটিল রোগের চিকিৎসায় ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল বিরল কৃতিত্ব রেখেছে। বিদেশে যাওয়ার চেয়ে দেশের ভেতরেই এ রোগের সুচিকিৎসার কারণে রোগীদের ভোগান্তি কমেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাননীয়প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন হৃদরোগ চিকিৎসায় গর্ব করে। আর এটি সম্ভব হয়েছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। এ পর্যায়ে হৃদরোগ চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করেন।
সফলতা উদযাপন অনুষ্ঠানে এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু দেশের কার্ডিয়াক সার্জন ও সেবা মানের ভূয়সীপ্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের সার্জনরা সীমিত খরচ ও সীমিত সংখ্যক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি নিয়ে যে চিকিৎসা সেবা দেন সেটা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে মেডিসিন ও স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। আর ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।
উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াকসার্জন ড. জাহাঙ্গীর কবীর। বিশ্বব্যাপী মানব মৃত্যুর একক প্রধান কারণ হিসেবে হৃদরোগের কথা তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। ১২ হাজার সফল কার্ডিয়াক সার্জারির মাইল ফলক অর্জন করায় ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল এবং ড. লুতফর রহমান ও তার টিমকে অভিনন্দন জানান।
বিএমএ এর সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ল্যাবএইড হাসপাতালকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ড. এ এম শামীম ও ড. লুতফর রহমান যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য সব হাসপাতাল ও চিকিৎসক এগিয়ে এলে আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
কার্ডিয়াক সার্জন ড. লোকমান হোসাইন বলেন, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে সার্জারির পর সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন। তিনি হাসপাতালের সেবা-সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্ব মানের সেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সহ দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ। সবাইকে নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এম শামীম কেক কেটে সফলতা উদযাপন অনুষ্ঠানের ইতি টানেন।