নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে আগের চেয়ে দ্রব্যমূল্য এখন অনেকটাই কমছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। আজ (৩০ মার্চ ২০২৪) শনিবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার মনিটরিং ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে আগের চেয়ে দ্রব্যমূল্য এখন অনেকটাই কমছে। মনিটরিংয়ের কারণে বর্তমানে ৮০০ টাকার তরমুজ আজকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৫৯৫ টাকায় এবং ১০০ টাকার বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, না হলে পাগলা ঘোড়ার মতো দাম বাড়তো।
শুধু পণ্যের দাম বাড়লে মিডিয়ায় প্রচার না করে দাম কমলেও তা প্রচার করতে সংবাদকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, বেগুনের কেজি ১০০ টাকা ছিল, এতদিন সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। বর্তমানে দাম কমে বেগুন এখন রংপুরে ৩০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৮০ টাকা প্রচার হলেও বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়নি। মিডিয়ায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি প্রচার হলেও পণ্যের দাম কমার বিষয়ে প্রচার হয় না। যার ফলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগটা গ্রহণ করে।
ভোক্তার ডিজি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে উত্তরাঞ্চলে দ্রব্যমূল্য কেন বাড়ছে সেই বিষয়ে মনিটরিংয়ে আমরা এসেছি। তাছাড়া আমরা বাজারে আসলে দাম কমে, চলে গেলে আবার দাম বাড়ে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। অন্যান্য জেলায় এই মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলায় ভেজাল, নকল প্রতিরোধে কাজ করছি। রংপুরের বাজারে ভোজ্যতেল অস্বাস্থ্যকর ড্রামে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া ড্রামে রাখার কারণে কোনটা সয়াবিন তেল আর কোনটা পাম ওয়েল সেটা বোঝা মুশকিল। এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করছি।